দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবালই হলো গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিমের ফেভারিট ব্যাটসম্যান। দুজনের বন্ধুত্ব থাকলেও তাদের মাঝে সব সময় নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে। তবে সেটি ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। টেস্ট ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিমের শীর্ষ রান সোমবার কেড়ে নিয়েছেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ২০৩ রান তুলে এই কীর্তি গড়েন তিনি। খর্বকায় এই ব্যাটসম্যান ৭০ ম্যাচ থেকে বর্তমানে ৪৪১৩ রান সংগ্রহ করে টপকে গেছেন ৬০ ম্যাচ থেকে তামিমের করা ৪৪০৫ রানকে।
গতকাল সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘বাংলাদেশে তামিম আমার সবচেয়ে ফেভারিট ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে আমার সারাক্ষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগে থাকে। তবে সেটি ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তামিম সব সময় আমাকে অনুপ্রাণীত করে। আমিও তাকে উৎসাহিত করি। খেলোয়াড়দের মধ্যে যদি ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে তাহলে সেটি দলকে সহায়তা করে। আমি আন্তরিকভাবে চাই তামিম যেন বাংরাদেশের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হতে পারেন। একই সঙ্গে আমি এটিও চাই তামিমের চেয়ে যেন এক রানে হলেও এগিয়ে থাকতে পারি।’
মুশফিক বলেন, ‘আমাদের দলের সব ব্যাটিং রেকর্ড হয়েছে তামিমকে দিয়ে। তিনি সব সময় মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৩৪ রান করেছেন তামিম। আমি তাকে বলেছি তার ওই রেকর্ডের কছাকাছি যেতে চাই। আরেকটা ইচ্ছা আমার আছে, ওরে একবার আমার বলে আউট করতে চাই (হাসি)।’
মুশফিক বলেন, সাকিব ও তামিমের মতো সাবলীল নন তিনি। যে কারণে সব সময় ভালো কিছু করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমি যখন টিভিতে আমার খেলার উল্লেখযোগ্য অংশ দেখি, তখন ভালো বোধ করি না। সব সময় ভাবি যদি তামিমের মতো কভার ডাইভ খেলতে পারতাম কিংবা সাকিবের মতো কাট শট খেলতে পারতাম..। আমি নিজের সীমাবদ্ধতা জানি, তাই ভালো করার জন্য পরিশ্রম করি।’