ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেঞ্জুরি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাইনরিখ ক্লাসেন। তাঁর ওই সেঞ্জুরির ওপর ভর করেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতেও অস্ট্রেলিয়াকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতকাল শনিবারের ওয়ানডে ম্যাচে পার্লে ৭৪ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে কুইন্টন ডি ককের দল। ২৯১ রান তাড়ায় ৪৫ ওভার ১ বলে ২১৭ রানে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা যদিও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন ইয়ানেমান মালান। ওয়ানডে অভিষেকে ম্যাচের প্রথম বৈধ বলে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান এই তরুণ।
খেলা শুরুর ১০ ওভারে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। এর পরেও দলকে নিয়ে গেছেন তিনশ রানের কাছে। বলারদের মধ্যে ৩০ রানে ৩ উইকেট নেওয়া লুঙ্গি এনগিডির এ জয়ে যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন আনরিক নরকিয়া ও তাবরাইজ শামসি।
ডি কককে আউট করেন জশ হেইজেলউড। টেম্বা বাভুমাকে থামান প্যাট কামিন্স।
৪৮ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিরোধ গড়ে কাইল ভেরেইন ও ক্লাসেনের ব্যাটে। লড়াকু ব্যাটিংয়ে দুই জনে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। অভিষেকে ৪৮ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কামিন্সের শততম শিকার হয়ে ফেরেন।
ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার ১৩০ বলে ১৪৯ রানের জুটিতে দলকে টানেন। শেষের দিকে মিলারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্স। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি বিস্ফোরক ব্যাটসম্য্যান চারটি চার ও এক ছক্কায় ৭০ বলে করেন ৬৪ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ক্লাসেন।
৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার।
২৯১ রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই হারায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় অ্যারন ফিঞ্চকে। আরেক ওপেনার ওয়ার্নারকেও বেশিদূর যেতে দেননি এনগিডি।
তৃতীয় উইকেটে মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে স্মিথের ৮৪ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে অস্ট্রেলিয়া। ৪১ রান করা লাবুশেনকে বিদায় করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ।
মিচেল মার্শের সঙ্গে স্মিথের জুটি বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। তবে স্মিথকে নৈপুণ্যের সঙ্গে বোল্ড করে দেন এনগিডি। মহারাজের কোটা শেষে আক্রমণে ফেরা নরকিয়া ধরেন সবচেয়ে বড় শিকার। তিন চারে ৭৬ রান করা স্মিথকে বিদায় করেন এলবিডব্লিউ করে।
এরপর আর সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। শেষ ৬ উইকেট হারাতে হয় মাত্র ৪৩ রানে।
স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ২৯১/৭ (মালান ০, ডি কক ১৫, বাভুমা ২৬, ভেরেইন ৪৮, ক্লাসেন ১২৩*, মিলার ৬৪, ফেলুকওয়ায়ো ০, মহারাজ ২, নরকিয়া ১*; স্টার্ক ১০-০-৫৯-২, হেইজেলউড ১০-০-৬৩-১, কামিন্স ১০-০-৪৫-৩, মার্শ ৫-০-৩৫-০, শর্ট ৫-০-৩৫-০, জ্যাম্পা ১০-০-৪৮-০)।
অস্ট্রেলিয়া : ৪৫.১ ওভারে ২১৭ (ওয়ার্নার ২৫, ফিঞ্চ ১০, স্মিথ ৭৬, লাবুশেন ৪১, মার্শ ১৬, কেয়ারি ৫, শর্ট ১৮, স্টার্ক ৫, কামিন্স ৬, জ্যাম্পা ৭*, হেইজেলু্ড ১; মহারাজ ১০-০-৪৮-১, নরকিয়া ৭.১-০-৩৯-২, এনগিডি ৮-০-৩০-৩, ফেলুকওয়ায়ো ১০-০-৫২-১, শামসি ১০-০-৪৫-২)
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ : হাইনরিখ ক্লাসেন
পরবর্তী ম্যাচ : ব্লুমফন্টেইনে আগামী বুধবার (তিন ম্যাচ সিরিজের ২য় ওয়ানডে)